Friday 18, Sep 2020 , 06:36:19 PM
আগের পোস্টেই জানিয়েছিলাম, খুব শিগগিরই আপনাদের নিয়ে যাবো হুগলির এক মন্দির সফরে। হ্যাঁ ভাই,দিনক্ষণ সব পাকা করে ফেললাম। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার, আমরা যাচ্ছি বেশ কিছু প্রসিদ্ধ মন্দির ভ্রমণে। সকাল সকাল বেরিয়ে, গাড়িতেই জলখাবারের পাট চুকিয়ে, প্রথমেই আমরা পৌছে যাবো শ্রীশ্রী পরমহংসদেবের পীঠস্থান কামারপুকুরে। স্থানমাহাত্ম্য নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে যাওয়া বাতুলতা মাত্র। শ্রীরামকৃষ্ণের মূল মন্দির সহ সব কিছু দেখে, একরাশ প্রত্যাশা পূরণের অনুভূতিকে পাথেয় করে এবার আমরা যাবো মায়ের বাড়ির পথে। মহাতীর্থ জয়রামবাটী। ঠিক বলেছেন, যতবার আসি, ততবারই মনে হয়, মনপ্রাণ ভরে গেলো। সব দেখে নেবো হৃদয় দিয়ে। খুব ইচ্ছে ছিলো, দুপুরে মায়ের বাড়ি ভোগ খাবো সবাই মিলে। কিন্তু করোনা আবহে মন্দির কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ রেখেছেন। তাই মধ্যাহ্নভোজ সারতে হবে হোটেলেই। তবে তাদের আয়োজনের কোনো ত্রুটি নেই। এরপর আমরা আসবো রাজবলহাটে। দেখে নেবো মা রাজবল্লভীর মন্দির। পঞ্চদশ শতকে রাজা ইন্দ্রনারায়ণ এটি নির্মাণ করেন। মুল মন্দির ভেঙে গেছে বহুকাল আগে,নতুন করে তৈরি হয়েছে ৭০ – ৮০ বছর আগে। মায়ের নামের সুত্রেই জায়গার নাম রাজবলহাট। তবে মায়ের মূল মূর্তিটি অক্ষত, প্রায় ৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। বেশ ঘাড় উঁচু করে দেখতে হয়। এ এক অপূর্ব কালীমূর্তি, ধবধবে সাদা মায়ের গায়ের রঙ,স্থানীয় মানুষ ডাকেন শ্বেতকালী। যা ভূভারতে বিরল। মায়ের মুখে এক অদ্ভুত প্রশান্তি, যা আপনাকে কাছে টানবে ভীষণভাবে। মনে পড়ে, ছোটোবেলায় অনেকক্ষণ বাদে মা’কে দেখলে বুকের ভেতর একটা শিরশির করে আনন্দের স্রোত বয়ে যেতো, একবার মাকে ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করতো, বিশ্বাস করুন, সেই একই অনুভূতি হবে মা’য়ের মুখটা দেখলেই। মনে হবে এ-তো আমদের সেই ছোটোবেলার মা। বড়ো আপন,বড়ো কাছের বলে মনে হবে। এবার, আবার আসার অঙ্গীকার করে, মায়ের কাছ থেকে আজ বিদায় নিতেই হবে। এবার একটু এগিয়েই আমরা দেখে নেবো ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রনবানন্দ মন্দির। সেখান থেকে বেরিয়ে আরও বেশ কিছুটা এগিয়ে দেখে নেবো আঁটপুর রামকৃষ্ণ মিশন। স্বামীজি অনেকদিন এখানে ছিলেন। সব দেখে নেবো ঘুরে ঘুরে। পথেই পড়বে আটপুরের কিছু প্রাচীন মন্দির, অদ্ভুত টেরাকোটার কাজ মন্দিরের। দুটো মিনিট দাড়ালে মন্দ কী? এবার গজার মোড় হয়ে ডান দিকে এগিয়ে শিয়াখোলা পৌছে, বা দিকের রাস্তা ধরে সোজা বনমালীপুর। দেখে নেবো সুবিশাল ব্রহ্মদত্ত ধাম। নির্মাণ শৈলী দেখার মতো। তবে মন্দিরের কাজ এখনো চলছে। একই দেহে ব্রহ্মা – বিষ্ণু -মহেশ্বর। চোখ সার্থক হয়ে যাবে। এইরে বেলা যে পড়ে এলো। এবার ফিরতে হবে সেই মন খারাপের রাজ্যে। তাহলে আমরা তৈরি। করোনার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে চলুন তো একটু মনটাকে ভরিয়ে নিয়ে আসি,বড্ড খালি খালি লাগছে যে। তাড়াতাড়ি করুন। সিদ্ধান্ত আপনার, দায়িত্ব আমাদের। কেবল একটা ফোন। ব্যাস। আর হ্যাঁ, সেদিন আমাদের বাহন এক ঝা চকচকে এসি উইঙ্গার। আর সমস্ত কিছু নিয়ে জনপ্রতি খরচ ১৫০০ টাকা। আরও কিছু কথা হবে পরের পোস্টে। একটু তাড়াতাড়ি ভাই,একটা ফোন করুন এই নম্বরে —9051159324/7980297340/7044875223/8902481053
Thursday 17, Sep 2020 , 08:06:17 AM
আগের পোস্টেই জানিয়েছিলাম, খুব শিগগিরই আপনাদের নিয়ে যাবো হুগলির এক মন্দির সফরে। হ্যাঁ ভাই,দিনক্ষণ সব পাকা করে ফেললাম। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার, আমরা যাচ্ছি বেশ কিছু প্রসিদ্ধ মন্দির ভ্রমণে। সকাল সকাল বেরিয়ে, গাড়িতেই জলখাবারের পাট চুকিয়ে, প্রথমেই আমরা পৌছে যাবো শ্রীশ্রী পরমহংসদেবের পীঠস্থান কামারপুকুরে। স্থানমাহাত্ম্য নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে যাওয়া বাতুলতা মাত্র। শ্রীরামকৃষ্ণের মূল মন্দির সহ সব কিছু দেখে, একরাশ প্রত্যাশা পূরণের অনুভূতিকে পাথেয় করে এবার আমরা যাবো মায়ের বাড়ির পথে। মহাতীর্থ জয়রামবাটী। ঠিক বলেছেন, যতবার আসি, ততবারই মনে হয়, মনপ্রাণ ভরে গেলো। সব দেখে নেবো হৃদয় দিয়ে। খুব ইচ্ছে ছিলো, দুপুরে মায়ের বাড়ি ভোগ খাবো সবাই মিলে। কিন্তু করোনা আবহে মন্দির কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ রেখেছেন। তাই মধ্যাহ্নভোজ সারতে হবে হোটেলেই। তবে তাদের আয়োজনের কোনো ত্রুটি নেই। এরপর আমরা আসবো রাজবলহাটে। দেখে নেবো মা রাজবল্লভীর মন্দির। পঞ্চদশ শতকে রাজা ইন্দ্রনারায়ণ এটি নির্মাণ করেন। মুল মন্দির ভেঙে গেছে বহুকাল আগে,নতুন করে তৈরি হয়েছে ৭০ – ৮০ বছর আগে। মায়ের নামের সুত্রেই জায়গার নাম রাজবলহাট। তবে মায়ের মূল মূর্তিটি অক্ষত, প্রায় ৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। বেশ ঘাড় উঁচু করে দেখতে হয়। এ এক অপূর্ব কালীমূর্তি, ধবধবে সাদা মায়ের গায়ের রঙ,স্থানীয় মানুষ ডাকেন শ্বেতকালী। যা ভূভারতে বিরল। মায়ের মুখে এক অদ্ভুত প্রশান্তি, যা আপনাকে কাছে টানবে ভীষণভাবে। মনে পড়ে, ছোটোবেলায় অনেকক্ষণ বাদে মা’কে দেখলে বুকের ভেতর একটা শিরশির করে আনন্দের স্রোত বয়ে যেতো, একবার মাকে ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করতো, বিশ্বাস করুন, সেই একই অনুভূতি হবে মা’য়ের মুখটা দেখলেই। মনে হবে এ-তো আমদের সেই ছোটোবেলার মা। বড়ো আপন,বড়ো কাছের বলে মনে হবে। এবার, আবার আসার অঙ্গীকার করে, মায়ের কাছ থেকে আজ বিদায় নিতেই হবে। এবার একটু এগিয়েই আমরা দেখে নেবো ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রনবানন্দ মন্দির। সেখান থেকে বেরিয়ে আরও বেশ কিছুটা এগিয়ে দেখে নেবো আঁটপুর রামকৃষ্ণ মিশন। স্বামীজি অনেকদিন এখানে ছিলেন। সব দেখে নেবো ঘুরে ঘুরে। পথেই পড়বে আটপুরের কিছু প্রাচীন মন্দির, অদ্ভুত টেরাকোটার কাজ মন্দিরের। দুটো মিনিট দাড়ালে মন্দ কী? এবার গজার মোড় হয়ে ডান দিকে এগিয়ে শিয়াখোলা পৌছে, বা দিকের রাস্তা ধরে সোজা বনমালীপুর। দেখে নেবো সুবিশাল ব্রহ্মদত্ত ধাম। নির্মাণ শৈলী দেখার মতো। তবে মন্দিরের কাজ এখনো চলছে। একই দেহে ব্রহ্মা – বিষ্ণু -মহেশ্বর। চোখ সার্থক হয়ে যাবে। এইরে বেলা যে পড়ে এলো। এবার ফিরতে হবে সেই মন খারাপের রাজ্যে। তাহলে আমরা তৈরি। করোনার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে চলুন তো একটু মনটাকে ভরিয়ে নিয়ে আসি,বড্ড খালি খালি লাগছে যে। তাড়াতাড়ি করুন। সিদ্ধান্ত আপনার, দায়িত্ব আমাদের। কেবল একটা ফোন। ব্যাস। আর হ্যাঁ, সেদিন আমাদের বাহন এক ঝা চকচকে এসি উইঙ্গার। আর সমস্ত কিছু নিয়ে জনপ্রতি খরচ ১৫০০ টাকা। আরও কিছু কথা হবে পরের পোস্টে। একটু তাড়াতাড়ি ভাই,একটা ফোন করুন এই নম্বরে —9051159324/7980297340/7044875223/8902481053
Tuesday 28, Jul 2020 , 08:51:27 PM
আজ বিকেলে সরকারি নির্দেশে, আগামী ২৩ আগস্ট লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায়, আমরা পূর্বনির্ধারিত সূচির কিছুটা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছি। গুরাপ গেস্ট হাউস যাওয়ার প্রোগ্রামটি পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১৫ আগস্ট, শনিবার, হচ্ছে। সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ, একটু তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানান। যাতে আমরা ট্যুরটি সফল ও সুন্দর করে তুলতে পারি। ট্যুরের বাকি সব কিছু অপরিবর্তিত থাকছে। একান্ত নিরুপায় হয়ে এই দিন পরিবর্তনের জন্য আমারা দুঃখিত। আপনাদের সহয়োগিতা কামনা করি।
Tuesday 28, Jul 2020 , 07:51:51 AM
ফোন আসছে প্রচুর, খোঁজ খবর নিচ্ছে অনেকেই, বুকিংও চলেছে পুরোদমে। তাই বন্ধুদের কাছে একান্ত অনুরোধ, যারা যাবেন বলে চিন্তা ভাবনা করছেন, একটু তাড়াতাড়ি করুন, কারণ আমাদের সিট সংখ্যা সীমিত। আবার জানাচ্ছি, আমরা গুরাপ রিসর্টে যাচ্ছি ২৩ আগস্ট, রবিবার। এই একঘেয়েমি,করোনা আতঙ্ক আর লকডাউন এর ক্লান্তিকে একটা দিনের জন্য ভুলে, প্রকৃতির কোলে একটু মুক্তির প্রত্যাশায়। এই যন্ত্রণাদগ্ধ জীবনটাকে একটু খুশির ছোয়া দিতে। কেবল একটা ফোন, আমরা হাত বাড়িয়েই আছি। সেদিন শুধু তারিয়ে তারিয়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করা, একটু প্রাণখুলে হাসা,একটু গল্প,আড্ডা,জমিয়ে খাওয়া দাওয়া আর পায়ে পায়ে এগিয়ে কিছু ইতিহাসকে ফিরে দেখা। তবে হ্যাঁ, সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে মেনেই। তাহলে হাত বাড়ালেই বন্ধু। একটা ফোন, একটু তাড়াতাড়ি। এই নম্বরে –
+91 79802 97340 অথবা +91 9051159324
Sunday 26, Jul 2020 , 01:25:13 PM

Sunday 26, Jul 2020 , 12:42:09 PM
করোনার আতঙ্ক আর লকডাউন এর একঘেয়েমি এড়িয়ে এক ঝলক দমকা খুশির হাওয়া যদি মনটাকে এলোমেলো করে দেয়, ক্ষতি কী? ঘরে বসে বসে দম আটকে আসছে যে। আমরা যারা গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ানো ভবঘুরে মানুষ, তাদের তো দিন কাটানোই দায়। তাই অনেক ভেবে চিন্তে একটা উপায় ঠাওরেছি ভাই। আগস্টের শেষে একদিন সকাল সকাল চলুন না বেরিয়ে পড়ি বন্ধু, সরকারি নির্দেশিকা মেনে, এমন কোনো খোলামেলা জায়গায়, যেখানে দু-দন্ড বুক ভরে একটু শ্বাস নেবো। যাবো গুরাপ এ, একটা খুব সুন্দর রিসর্ট, চারপাশ সবুজে সবুজ। সামনে এক বিশাল দিঘী, জলে খেলে বেড়াচ্ছে অসংখ্য মাছ।সেগুন, আম, নারকেল গাছ দিয়ে ঘেরা। হাজারো পাখির কলতান। বিশাল জায়গা জুড়ে এই বাগান। যেমন খুশি ঘুরে বেড়ান। খুব কাছ থেকে ছুয়ে নিন, বাংলার মায়াবী প্রকৃতিকে। বাগানে কত না ফুল। গল্পে আড্ডায় মেতে ওঠার মাঝেই জলখাবারের পালা শেষ হয়ে যাবে। গেট দিয়ে বেরিয়ে পায়ে পায়ে যতদূর যাওয়া যায়, একটু হেটে আসি চলুন না। দুপাশে দিগন্ত বিস্তৃত ধানখেত। ধান রুইছে আদিবাসী মেয়েরা। মূল পিচ রাস্তা ছেড়ে, গ্রামের দিকে চলে যাওয়া মোরামের রাস্তা ধরে আর একটু এগোতেই শালুক ভরা পুকুরে হাসেদের জলকেলি দেখতে দেখতে কোথায় যেন হারিয়ে যাবেন আপনি। না, এবার ফিরতে হবে, একটু ফ্রেশ হয়ে চেয়ার টেনে বসে পড়ুন। লাঞ্চ যে রেডি। সুগন্ধে তখন ছুচোয় পেটে ডন মারছে। চর্ব চোষ্য লেহ্য পেয় সামলে একটু বিশ্রাম। নিন, এবার চলুন একটু বেড়িয়ে আসি। কাছেই দশঘরা। সেখানে আমরা দেখবো, জগমোহন দেব বিশ্বাসের জমিদার বাড়ি। ভগ্নপ্রায় অবস্থা, তবু ইতিহাস যেন কথা বলে এখানে। জমিদার বাড়ির ঠিক পিছনেই দেখে নেবো, গোপীনাথ মন্দির। টেরাকোটার কাজ চোখ ধাধিয়ে দেবে। এ ছাড়া রয়েছে আর এক জমিদার বাড়ি, রায়বাড়ি। এসব দেখে রিসর্টে ফেরার আগে, ঘুরে নেবো বিখ্যাত কপিলা ডেয়ারি। মিষ্টির শোরুমে এসে চোখ ধাধিয়ে যাবেই। যেমন বৈচিত্র, তেমনি স্বাদ। একটু দই খেলে হয় না, বলতে বলতে চার পাচটা আইটেম তখন পেটের মধ্যে কাবাডি খেলছে। দামও বেশ কম। অগত্যা কলকাতার চললো বেশ কিছু প্যাকেট। পটল মিষ্টির মধুর স্মৃতি স্মরণ করতে করতে ততক্ষণে সবাই রিসর্টে। এরপর জমিয়ে এককাপ কফি। তারপর একরাশ সুখস্মৃতি সাথে নিয়ে, রিসর্টে বাই বাই করে, আবার আসার অঙ্গীকার করে ফেরার পথ ধরবো গুটি গুটি। তাহলে মনস্থির করুন বন্ধুরা, আর একটা শুধু ফোন করুন। কথা দিচ্ছি সব দায়িত্ব আমাদের। হ্যাঁ, এই এতো বাধার মধ্যেও। দিনক্ষণ থেকে শুরু করে সব কিছু জানিয়ে দিতে আমরা তৈরি। তাহলে বন্ধু, আর দেরি কেন, মুক্তির হাতছানি সামনে। কেবল একটা ফোন বন্ধু, এই নম্বরে – ৭৯৮০২৯৭৩৪০ অথবা ৯০৫১১৫৯৩২৪, মেল করে আমাদের মতামত জানাতে পারেন [email protected]